অলিউর রহমান মেরাজ, নবাবগঞ্জ দিনাজপুর প্রতিনিধি: পুলিশ জনগনের বন্ধু ও সেবক। অনেকেই তা জানতো না কিন্তু মানবিক কিছু পুলিশের কার্যক্রমে তার বাস্তবতা ও সত্যতা মানুষ খুঁজে পেয়েছে সাধারন মানুষ। ঠিক তেমনি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ এর গৃহীত জনবান্ধব পুলিশি সেবা কার্যক্রমে জনগণের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

নবাবগঞ্জ থানায় তাহার যোগাদানের বয়স মাত্র এক বছর এরই মধ্য তিনি বিগত বিদায়ী ওসিদের দ্বারা অনেকেই হয়রানিসহ নির্যাতিত হলেও মাত্র ১ বছরেই সেসব চিত্র পাল্টে পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

এমনকি তার যোগাদানের পর থেকেই নেই কোন রাজনৈতিক অহেতুক মামলার ভয়, নেই কোন মিথ্যে মামলার হয়রানী। যা এক সময় ছিলো সাধারণ মানুষেরা বিপদে পরলেও তারা থানার আশেপাশে যাওয়ার সাহস করতেন না এমকি অন্ধ কানা ব্যক্তিরাও পুলিশের ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটেনি। সাধারণ জনগণ পুলিশকে দেখলেই তাদের মনে ভয়ভীতি কাজ করতো।

পুলিশ সম্পর্কে ভয়ভীতির সকল চিত্র পাল্টে দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।
বর্তমান বাংলাদেশ পুলিশের যে অঙ্গীকার তা তিনি মাত্র এক বছরেই নবাবগঞ্জ উপজেলায় বসবাসরত প্রায় সাড়ে ৫ লাখ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত কাজ করে উপজেলায় ব্যাপক প্রসংশা অর্জন করেছেন।

বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড.বেনজির আহমেদ ও রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি ও দিনাজপুর জেলা পুলিশের নির্দেশনায় নবাবগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের দৌরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।

স্থানীয় একটি সূত্রে জানাযায়, ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ নবাবগঞ্জ থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগদান করার পর ঘুষ দুর্নীতি ও দালাল মুক্ত থানা গড়ে তুলে পুলিশি সেবা কার্যক্রম পাল্টে দিয়েছেন। তিনি যোগাদানের পর থেকে কোন অভিযোগ, জিডি ও বিশেষ করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করতে পুলিশকে কোন প্রকার টাকা দিতে হয়না।

পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের মামলা দ্রুত উদঘাটন করে আসামীদের জেলহাজতে প্রেরণ করতেও সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে প্রাইভেটকার,মোটরসাইকেল ও মিনিট্রাক গুলো ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদের নেতৃত্বে থানা পুলিশের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে মাত্র এক বছরে বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট,ফেন্সিডিল,গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করতে সক্ষমও হয়েছেন তিনি।

এছাড়াও নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার চিহ্নিত ব্যবসায়ী, মাদক সেবী- মাদক ব্যবসায়ী, ধর্ষক,পতিতালয়, ইভটিজার,চোর, কুখ্যাত ডাকাতসহ ডাকাতি ও ছিনতাইকৃত অসংখ্য মোটরসাইকেল,ইজিবাইক,গবাদি পশু,স্বর্ণালংকারসহ ডাকাতি বা চুরি হওয়া বাড়ির মালামাল দ্রুত উদ্ধারসহ ডাকাত ও চোর চক্রের সদস্য ও সমাজে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরণের অপকর্মের সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনেছেন তিনি।

নবাবগঞ্জ উপজেলার সকল এলাকার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ। বাংলাদেশ পুলিশের সকল কার্যক্রম মানুষের হাতের নাগালে পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিট পুলিশি সেবা চালু করেছেন তিনি।

এবং বর্তমানে স্বামীহারা বিধবা, স্বামী পরিত্যক্ত নির্যাতিত ও বিভিন্ন সন্তানের জননীদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি এহেতুক মিথ্যা বা হয়রানি মূলক মিথ্যা না নিয়ে তিনি নিজেই উভয়পক্ষকে থানাতে ডেকে আপোষ মিমাংশার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন পারিবারিক, জমি,বিবাহবিচ্ছেদের মতো ঘটনাও গুলোও সমস্যা সমাধান করে আসছেন।

সাক্ষাতকারের ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, আমি জনগণের টাকায় বেতন পাই তাই আমার দরজা সকল জনগণের জন্য দিনরাত ২৪ ঘন্টায় খোলা। আমার অফিসে আসতে কোন অনুমতি বা দালালের প্রয়োজন হয়না। দালাল ছাড়া যেকোনো ব্যক্তি নির্ভয়ে থানায় এসে পুলিশি সেবা পেয়ে থাকেন। এবং কোন ধরণের অন্যায় তদবির আমার থানায় করে কোন লাভ হয়না।

চোর,ডাকাত,সন্ত্রাস ও মাদক সেবী-মাদক বিক্রেতারা যতোবড়ই প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হয়না।এসব বিষয়ে আমরা পুলিশ সবসময় জিরো টলারেন্সে রয়েছি। আমার থানা এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার জন-প্রতিনিধি,সুশীল সমাজ ও আপনারা সাংবাদিক ভাইদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। এজন্য আপনাদের সকলের সহযোগীতা সর্বদায় আমাদের দরকার আশাকরি আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন।